মংলার খাল-বিলের শোল মাছ (Snakehead fish) আসলে রোগীকে শক্তি ফেরাতে, শিশুদের পুষ্টি দিতে, আর বয়স্কদের দুর্বলতা কমাতে দারুণ কাজ করে।

পুষ্টিগুণ

শোল মাছের মধ্যে সাধারণত থাকে—

• উচ্চমানের প্রোটিন

• ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

• আয়রন

• ক্যালসিয়াম

• ফসফরাস

• ভিটামিন A ও B-কমপ্লেক্স

• কোলাজেনজাতীয় উপাদান (ঘা শুকাতে সাহায্য করে)

কার জন্য কতটা উপকারী

শিশু:
এটা তাদের শক্তি, হাড়-মাসল, মস্তিষ্কের বিকাশ—সব কিছুর জন্য ভালো। শোলের প্রোটিন সহজে হজম হয়, তাই বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ।

প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ:
যাদের শরীরে দুর্বলতা, রক্তস্বল্পতা, ক্লান্তি বেশি—শোল দ্রুত শক্তি ফেরায়। ওমেগা-৩ হার্ট, ব্রেইন এবং ত্বকের জন্য সহায়ক।

বৃদ্ধ বাবা-মা:
এদের জন্য শোল কার্যকর কারণ—

• হজম সহজ

• ঘা বা অপারেশনের পর রিকভারি ভালো

• শরীরের শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে

গর্ভবতী নারী:
এখানে ব্যাপারটা একটু স্পষ্ট করি—
শোল খুব পুষ্টিকর, হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে, কিন্তু গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে নিয়মিত খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের অনুমতি থাকা ভালো। কারণ সবার শরীরের অবস্থা এক নয়।

শোল মাছের মাংস কেমন?

• মাংস সাদা, টাইট, ঘন

• কাঁটা কম

• গন্ধ কম

• যারা নরম মাছে অভ্যস্ত, তাদের কাছে একটু ফার্ম লাগবে

• শোলের মাংস তুলনামূলকভাবে মিষ্টি স্বাদের এবং ঝোল-ঝাল দুইভাবেই দারুণ চলে

খেতে কেমন লাগে?

সরলভাবে বললে—
শোল মাছের স্বাদ পরিষ্কার, ভারী নয়, আর ফ্রেশ হলে খুব মজাদার।
যারা পুষ্টি-সমৃদ্ধ মাছ খুঁজছেন, এটাই তাদের জন্য বেস্ট চয়েস।