সুন্দরবনের মংলা নদীর খাল–বিলের গলদা চিংড়ি স্বাদে–গুণে আলাদা লেভেলের। প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বড় হওয়ায় এর মাংসে স্বাদ, ঘ্রাণ আর পুষ্টি দুটোই বেশি।

এতে কী কী পুষ্টি থাকে

গলদা চিংড়িতে সাধারণত থাকে

• উচ্চ মানের প্রোটিন – শরীর গঠন, পেশি মেরামত

• ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড – হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক

• ভিটামিন B12, B6 – নার্ভ, মস্তিষ্ক

• ভিটামিন D – হাড়

• আয়রন, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস

• কম ফ্যাট – হালকা ও সহজপাচ্য

প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় হওয়ায় এন্টিবায়োটিক বা রাসায়নিকের ঝুঁকি সাধারণ চাষের তুলনায় অনেক কম থাকে।

কার জন্য কতটা উপকারী

ছোট বাচ্চা

• সহজে হজম হয়

• প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস—হাড়–দাঁত শক্ত করে

• মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে

(শুধু খোসা–শুঁটকি অংশ না দিয়ে নরম মাংস দিন, আর যাদের শেলফিশ অ্যালার্জি আছে তাদের এড়াতে হবে)

প্রাপ্তবয়স্ক নারী–পুরুষ

• শরীরের স্ট্যামিনা বাড়ায়

• হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

• ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

• রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়

বৃদ্ধ বাবা–মা

• কম ফ্যাট তাই হজম সহজ

• হাড়–জয়েন্টের জন্য ফসফরাস–ক্যালসিয়াম ভালো

• ভিটামিন B12 স্মৃতিশক্তি ও নার্ভ ফাংশন সাপোর্ট করে

গর্ভবতী নারী

• ওমেগা–৩ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে কাজ দেয়

• প্রোটিন–আয়রন রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে

• কম পারদ (mercury) হওয়ায় অপেক্ষাকৃত নিরাপদ

(এখানে শুধু নিশ্চিত হতে হবে—চিংড়ি ভালোভাবে রান্না হওয়া চাই, কাঁচা বা আধা সিদ্ধ নয়)

মাংস কেমন

• নরম কিন্তু দৃঢ়

• মিষ্টি–স্বাদের

• রান্নায় ঝরে পড়ে না

• ঘ্রাণটা প্রাকৃতিক ও পরিষ্কার, কাঁকড়া বা ছোট চিংড়ির মতো কাঁচা গন্ধ থাকে না

খেতে কেমন

গলদা চিংড়ির স্বাদ অনেকটা “ক্লিন–সুইট” টাইপ।
কারি, ঝোল, মালাইকারি, গ্রিল বা স imply ভাজা—সবভাবেই দারুণ জমে।
নদীর গলদা চিংড়িতে একটা আলাদা “রিভার ফ্রেশ” টেস্ট থাকে যা চাষের গলদায় কম পাওয়া যায়।