মংলা নদীর কোরাল মাছ সাধারণত ছোট-মাঝারি সাইজের সাগর-মিশ্র জল মাছ। এর পুষ্টিগত বৈশিষ্ট্য এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

পুষ্টি উপাদান:

• প্রোটিন: কোরাল মাছ প্রোটিনে সমৃদ্ধ, যা শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৃদ্ধদের পেশি ও শরীরের গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে।

• ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো, গর্ভবতী নারীদের জন্যও উপকারী।

• ভিটামিন ও মিনারেল: ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস থাকে। এটি হাড় মজবুত করতে, রক্তের সঞ্চালন ঠিক রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

• কম কোলেস্টেরল: অন্যান্য মাংসের তুলনায় কম কোলেস্টেরল, তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

বয়সভিত্তিক উপকারিতা:

• শিশু: হাড় ও মস্তিষ্কের উন্নয়নে সহায়তা করে।

• প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ: পেশি শক্ত রাখে, হার্ট ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

• বৃদ্ধ ও বাবা-মা: হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে হার্ট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

• গর্ভবতী নারী: মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে, প্রোটিন ও ভিটামিন ডি সরবরাহ করে।

মাংসের ধরন ও স্বাদ:

• মাংসটি সাধারণত নরম ও হালকা, খুব বেশি কাঁটা থাকে না।

• রান্না করলে স্বাদ হালকা মিষ্টি জাতীয় হয়। ভাজা, তরকারি বা সূপ সব ধরনের রান্নায় মানানসই।

সংক্ষেপে, মংলা নদীর কোরাল মাছ প্রায় সব বয়সের মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর। খাবার হিসেবে এটি হালকা, সহজ হজমযোগ্য এবং সুস্বাদু।