কাচকি মাছ দেখতে ছোট হলেও পুষ্টিতে ভরপুর। কাপ্তাই লেকের পানির মান ভালো হওয়ায় সেখানে পাওয়া কাচকি মাছ আরও বেশি পুষ্টিগুণ ধরে রাখে। চলুন সহজভাবে পুরো বিষয়টা বুঝে নেই।

কাচকি মাছে কী কী পুষ্টি থাকে
এটার শক্তি আসে কয়েকটা মূল উপাদান থেকে—

• উচ্চ মানের প্রোটিন

• ক্যালসিয়াম

• ফসফরাস

• ভিটামিন D

• ভিটামিন B গ্রুপ

• ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

• আয়রন ও জিঙ্ক

এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো—এটা ছোট মাছ, তাই বেশি ভাগ সময় মাথা–লেজ–কাঁটা সবসহ খাওয়া হয়। ফলে ক্যালসিয়াম আর খনিজ বেশি পাওয়া যায়।

কার জন্য কতটা উপকারী

শিশুদের জন্য
কাচকি তাদের হাড়–দাঁত মজবুত করে, প্রোটিন শরীরের গ্রোথ বাড়ায়, ওমেগা–৩ মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। হজমও খুব সহজ।

প্রাপ্তবয়স্ক নারী–পুরুষদের জন্য
এটা শরীরকে লীন প্রোটিন দেয়, ক্লান্তি কমায়, হাড়ের শক্তি বাড়ায়, এবং নিয়মিত খেলে চুল–ত্বকও ভালো থাকে। লবণ কম দিয়ে রান্না করলে হার্ট–ফ্রেন্ডলি খাবার হয়ে যায়।

বৃদ্ধদের জন্য
কাচকি নরম, ছোট কাঁটা, সহজে চিবানো যায়। ক্যালসিয়াম বেশি থাকায় হাড় ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে, আর কম চর্বি হওয়ায় শরীরে চাপ দেয় না।

গর্ভবতী নারীদের জন্য
এটা নিরাপদ, তবে কিছু শর্ত আছে—

• ভালোভাবে ধুয়ে রান্না হতে হবে

• ভাজা নয়, ঝোল বা স্যুপ হলে ভালো

• প্রোটিন, আয়রন, ওমেগা–৩ মা ও শিশুর জন্য উপকারী
  তবে যাদের গন্ধে সমস্যা বা বমি ভাব বেশি, তারা অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।

কাচকি মাছ কীভাবে রান্না করা যায়
এখানেই মজা—এই মাছ রান্নায় খুবই ফ্লেক্সিবল।

১) কাচকি মাছ ভুনা
পেঁয়াজ–রসুন–মরিচ দিয়ে শুকনো ভুনা। ভাতের সাথে দারুণ লাগে।

২) কাচকি ঝোল
পাতলা ঝোলে ধনেপাতা আর টমেটো দিলে দারুণ হজম হয়।

৩) শাক দিয়ে কাচকি
লাউ বা ডাটা শাকের সাথে মিশিয়ে রান্না করলে হালকা ও পুষ্টিকর হয়।

৪) কাচকি মাছের চচ্চড়ি
হালকা মশলা আর সবজি দিয়ে খুব বাজেট–ফ্রেন্ডলি ও স্বাস্থ্যকর।

৫) কাচকি ভর্তা
কাচকি ভেজে বাটা—ভাতের সাথে অসাধারণ স্বাদ।

৬) কাচকি স্যুপ
বাচ্চা, বৃদ্ধ আর গর্ভবতী নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ আর হজমে ভালো।